December 22, 2024, 11:02 pm
মনির হোসেন জীবন– দীর্য প্রায় ৭০ বছর যাবত মজলুম ফিলিস্তিনিদের উপর অবৈধ দখলদার ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মাকদাসকে পূনরুদ্বারের লক্ষে বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল আজ রাজধানীতে অনুষ্টিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার বাদ জুম’আ নামাজের পর রাজধানীর ৬৫, মহাখালি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সামনে শেষে বিশাল বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে মহাখালি বাসষ্ট্যান্ড ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে আমতলি এলাকায় এসে এক বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমান্ত হয়।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, মহাখালি কওমী মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের আমীর মাওলানা ইকবাল সিরাজী। মহাখালি কওমী মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
রাজধানীর মহাখালি, আমতলি, কড়ালবস্তি, ও বনানী কাকলীসহ আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় ৪০-৫০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এই সমাবেশে এসে অংশ নেয়। এরআগে নগরীর বিভিন্ন মসজিদ থেকে ট্রাক ও পায়ে হেঁটে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড, মাথায় ফিতা বেঁধে, লতাকা ও মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিলে যোগদান করে মিছিলকারীরা।
এসময় মিছিলকারীরা ইহুদীদের বিরুদ্ধে ড্রাইরেক্ট এ্যাকশন, ইহুদীদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, আমার ভাই মরল কেন হুশিয়ার সাবধান, ইসরাইলের আস্তানা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দাও জ্বালিয়ে দাওসহ বিভিন্ন ভাষায় শ্লোগান দেয় ।
বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরাইল অবৈধ ভাবে ফিলিস্তিনিদের জায়গা জবর দখল করে সেখানে তাদের রামরাজত্ব কায়েম করে ইহুদি রাষ্ট্র গঠন কায়েম করতে চায়।
এবিষয়ে রাষ্ট্রীয় ভাবে সহযোগীতা করা হউক এবং ইসরাইলের সাথে সব ধরনের কূটনীতিক সম্পর্ক্য চিরতবে বন্ধ করার ও দাবি জানায় তারা। বক্তারা আরো জানান, আমরা বাংলাদের মুসলমানরা সর্বদা ফিলিস্তিনিদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, মহাখালি রেলগেইট মাদ্রাসার সাবেক মোহাদ্দীস (খতীব) এবং মহাখালি কওমী মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের আমীর মাওলানা ইকবাল সিরাজী।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মহাখালি দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি এহতেসামুল হক, মুফতি রুহুল আমিন জামিয়া মাহমুদিয়া মাদ্রাসা মদরুলমদারিসিন ঈমাম ও খতিব মুফতি রুহুল আমিন, গুলশান নিকেতন বাজার গেইট লাজী খান জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব মাওলানা মাহাবুবুর রহমান, আল মদিনা জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব রুহুল আমিন, মাওলানা লুৎফর রহমান ও মাওলানা ইসমাইল হোসেন বক্তৃতা করেন।